Type Here to Get Search Results !

‘কাঁথি না জিতলে লড়ব কী করে’, মরিয়া শুভেন্দু

কাঁথি না জিতলে লড়ব কী করে’, মরিয়া শুভেন্দু


কাঁথির পুরভোটের লড়াই যে তাঁর কাছে সম্মান রক্ষার লড়াই, প্রচারে বেরিয়ে সেই বার্তাই দিচ্ছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আর্জি, ‘‘ঘরের ছেলেকে সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে আশীর্বাদ করবেন।’’ সঙ্গে স্পষ্টই জুড়ছেন, ‘‘কাঁথিতে পদ্মফুলকে জেতাতেই হবে। নইলে আমি গোটা রাজ্যে লড়াই করব কী ভাবে!’’ 

তিনি নিজে পুরভোটে প্রার্থী নন। অধিকারী পরিবারের কেউও এ বার লড়ছেন না। এমনকি, কাঁথি শহরের ভোটারও নন শুভেন্দু। তবুও এই পুর-নির্বাচন যে তাঁর রাজনৈতিক সম্মানের লড়াই, শুভেন্দুর আবেগের বার্তায় সেটাই ধরা পড়েছে। তৃণমূলের মতে, কাঁথিতে জেতা যে অসম্ভব বুঝেই এমন মন্তব্য করছেন বিজেপি বিধায়ক। পটাশপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় পুর-নির্বাচনী কমিটির অন্যতম সদস্য উত্তম বারিক বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটে অনেকে ওঁর (শুভেন্দু) কথা শুনে ভুল করেছেন। তবে পুরসভায় উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে কাঁথির মানুষ এ বার আর বিরোধী দলনেতার ফাঁদে পা দেবেন না, সেটা উনি ভাল করেই বুঝতে পেরেছেন। তাই নিজের কষ্টের কথা সকলকে বলে বেড়াচ্ছেন।’’

শুভেন্দু নন্দীগ্রামের বিধায়ক, সেখানকারই ভোটার। তবে তাঁর পরিবারের ও নিজেরও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিধি মূলত কাঁথি কেন্দ্রিক। দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক ধরে কাঁথি পুরসভাও ‘অধিকারী পরিবার’ দ্বারাই পরিচালিত হয়েছে। এই প্রথম কাঁথি পুর-নির্বাচনে অধিকারী বাড়ির কেউ প্রার্থী নন। বিজেপির প্রার্থিপদ পাননি শুভেন্দুর ছোট ভাই, দীর্ঘদিন পুরপ্রধান পদে থাকা সৌমেন্দু অধিকারীও। তবে কাঁথিতে পদ্মফুল ফোটাতে মরিয়া শুভেন্দু এলাকায় পড়ে থেকে প্রচার সারছেন। মঙ্গলবার সকালে প্রথমে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের থানা পুকুর পাড়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার সারেন তিনি। পরে, আঠিলাগড়ি এলাকায় ঘুরে ঘুরে জনসংযোগ সেরেছেন। কারও সঙ্গে করমর্দন করে, কাউকে বুকে টেনে নিয়ে, কারও উদ্দেশে হাত নেড়ে প্রচার সেরেছেন শুভেন্দু।


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.